অনলাইনে আয় রোজগারের পাঁচটি সহজ ভালো উপায়
প্রিয় পাঠকগন, আজকে আপনারা জানতে পারবেন যে, কিভাবে পাঁচটি (৫) সহজ উপায়ের মাধ্যমে অনলাইনে আয় রোজগার বা ইনকাম করা যায়। এই সময় দেখা যায় বাড়তি আয় রোজগার বা ইনকাম না থাকলে জীবন চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই জন্য এই সময় চাকুরির পাশাপাশি আপনাকে বাড়তি আয় রোজগার করতে হবে।
কিন্তু বাড়তি আয় রোজগার করতে হলে আপনাকে বেশ কয়েকটি দিক লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, এই দিকগুলো জানা না থাকলে আপনি অনলাইনে আয় রোজগার বা ইনকাম করতে ব্যর্থ হবেন পাশাপাশি আপনার লস হয়ে যাবে। সেই জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে আয় রোজগারের পাঁচটি সহজ ভালো উপায় জানতে হবে।
ভুমিকা
এই সময়টাতে বাড়তি আয় রোজগারের মাধ্যম হিসাবে অনলাইন একটি ভালো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আয় রোজগারের বিভিন্ন উপায় রয়েছে অনলাইনে। তবে এই গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী নজর কেড়েছে পরোক্ষ আয় রোজগারের উৎস গুলো। কারণ আয় রোজগার বা অর্থ ইনকাম করতে এই উৎস গুলো থেকে সেই অর্থে কোন বেশী কাজ করতে হয় না।
তাতে সময় ও প্রচেষ্টা সেই রকম বেশী দরকার হয় না। আবার কোন রকমে ১ একবার যদি পরোক্ষ আয় রোজগারের এই সব উৎসের সাথে যুক্ত হওয়া যায় তখন সেইখান থেকে অর্থ আসতেই থাকে আর সেটির একটি অংশ ব্যবহারকারী পেয়ে থাকেন। এই লেখা গুলো থেকে অনলাইনে কিভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে পরোক্ষভাবে ও অনেকটা নিষ্কিয় থেকে আয় করা যায় সেই সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
অনলাইনে যে পাঁচটি সহজ উপায়ে আয় করবেন
- ১ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- ২ অনলাইন কোর্স করার মাধ্যমে
- ৩ ই-বুক
- ৪ স্টক ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আয়
- ৫ ওয়েবসাইট বা ব্লগের বিজ্ঞাপন থেকে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইনে পরোক্ষভাবে আয় রোজগার করার অন্যতম জনপ্রিয় উপায় বা মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই প্রক্রিয়ায় নিজের অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পন্য বিক্রয়ের জন্য প্রচার করা হয় আর প্রতিটি বিক্রয় থেকে কমিশন পাওয়া যায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামগুলোতে অংশ নেওয়ার জন্যগুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
তবে সর্ব প্রথমে নিজের বা ব্যক্তিগত একটা ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করা বেশী প্রয়োজন। এই ব্র্যান্ডের ভিত্তি হিসেবে থাকবে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু। তারপর এইগুলোর সাথে প্রাসঙ্গিক ও মানানসই পণ্যের প্রচার করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা যাবে। যেমন ধরা যাক কারো যদি শরীর চর্চা বিষয়ক ব্লক বা ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে।
তাহলে তিনি নিজে ব্যায়ামের বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রচার প্রচারনা শুরু করতে পারবেন। তখন সেইখান থেকে বিক্রয় হওয়া প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য কমিশন পেতে পারেন।
অনলাইন কোর্স করার মাধ্যমে
অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রয় অনলাইনে পরোক্ষ আয়ের আরেকটি উপায়। আপনার যদি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থেকে থাকে সেই ক্ষেত্রে ইউডেমি, টিচেবল বা স্কিলশেয়ারের মতো মাধ্যমগুলোতে অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিক্রয় করতে পারবেন। আপনার যদি একবার অনলাইন কোর্স বানানো প্রয়োজন।
আর এটি হয়ে গেলে পরবর্তীতে আর কোনো ধরনের বাড়তি বিনিয়োগ ছাড়াই সেখান থেকেও অর্থ আয় রোজগার করা সম্ভব। এইছাড়াও আপনি যদি চান তাহলে বিভিন্ন মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপরেও কোর্স শুরু করতে পারবেন।
ই-বুক
আপনার যদি কোন কিছুতে বা লেখালেখিতে আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে চোখ রাখতে পারেন ডিজিটাল বই বা ই-বুক বিক্রয়ের দিকেও। সেইজন্য আছে অ্যামাজন কিন্ডল ও অ্যাপল বুকের মতো প্ল্যাটফর্ম। এইগুলোতে আপনার নিজের পছন্দ মতো ও খুশি মতো ও জ্ঞানের উপর নির্ভর করেও বিভিন্ন বই লিখে যায় যেমন রান্না বান্না, ভ্রমন ও ব্যক্তিগত ব্যয় সমূহের যে কোন বিষয়ে।
তবে এই সমস্ত লেখার বইগুলো যদি একবার প্রকাশিত হয়ে যায় তখন যত বিক্রয় হবে আপনার কিন্তু ততই আয় হবে। সেই জন্য আপনার নীতিতে বেশী কোনো রকম প্রচেষ্টা ছাড়াই অর্থ আয় রোজগার করা সহজ ও সম্ভব।
স্টক ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আয়
আপনি যদি আপনার মনের মতাে করে কোনো দৃশ্য ধরে রাখতে ভালোবাসেন আর ক্যামেরার কারিগরিতে আপনার আগ্রহ থেকে থাকে বিভিন্ন ধরনের ছবি উঠানোর এই শখটিও কিন্তু হতে পারে আপনার আয়ের আরেকটি উৎস বা উপায়। আপনি আপনার নিজের উঠানো ছবি গুলোকে অনলাইনে বিক্রয়ের জন্য শাটার স্টক, আই স্টক ও অ্যাডোবি স্টক প্রয়োজন।
এছাড়াও এর মতো অনেক ধরনের ওয়েব সাইট আছে এইগুলোতে আপনি আপনার উঠানো ছবিগুলোকে বিক্রি করতে পারবেন। এই সব মাধ্যম ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছেও ছবি বিক্রয় করা যায় আর বিক্রয় করার কাজটি ওয়েবসাইট থেকেই করে দেওয়া হয়। এখানেও শুধুমাত্র একবার ছবি আপলোড করা হয়ে গেলে পরে।
পরবর্তীতে আর কোনো শ্রম ব্যয় না করেই সেখান থেকেও বছরের পর বছর ধরে অর্থ আয় রোজগার বা ইনকাম করা সম্ভব।
ওয়েবসাইট বা ব্লগের বিজ্ঞাপন থেকে আয়
ডিজিটাল যুগ বা পুঁজিবাদী যুগটাকে যে এক হাতে ধরেই সামলাচ্ছে বিজ্ঞাপনের সারা বিশ্ব বা পৃথিবী, এটাতে কোনো রকম সন্দেহ নাই। অফলাইনের মত অনলাইনেও বিজ্ঞাপনের রাজত্ব চলছে। তাই আপনার নিজের যদি কোনো সচল বা সক্রিয় ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে থাকে তাহলে সেটিতেও বিজ্ঞাপন যোগ করার কথা ভাবা যায়।
গুগল অ্যাডসেন্সের মতো প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে এসব ক্ষেত্রেও বিজ্ঞাপন সংযুক্ত করা যায়। যখন কোনো পাঠক বা ভিজিটর ওয়েবসাইটে যায় তখন এসব বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত বা দেখানো হবে। যত বেশী বেশী করে কেউ বিজ্ঞাপনটি দেখবে, তত বেশী বেশী করে অর্থ যোগ হবে ওয়েবসাইট মালিকের ব্যাগে, ঝুলিতে বা অ্যাকাউন্টে।
সেইক্ষেত্রে ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি মানসম্মত ও গ্রহণযোগ্যতা হওয়া খুবই প্রয়োজন তা না হলে খুব বেশী 'ভিউ’ আসবে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url