তীব্র গরমে নিয়মিত কাঁচা আম খেলে পাঁচটি উপকার মিলবে

প্রিয় পাঠকগন, আমি এখন কাঁচা আমের মধ্যে যে সকল উপকারীতা রয়েছে তা জানাব। আসলে পাকা আমের চেয়ে কিন্তু কাঁচা আমের মধ্যে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ পাওয়া যায়।  এই তীব্র গরমের সময় আপনারা যদি নিয়মিত ভাবে কাঁচা আম খেতে পারেন তাহলে আপনাদের পাঁচটি উপকার মিলবে।

তীব্র গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে পাঁচটি উপকার মিলবে

সেই জন্য আপনারা এই তীব্র গরমের সময় বেশী বেশী কাঁচা আম খাওয়ার অভ্যাস করবেন। তাহলে আপনাদের ভিটামিনের যে সকল অভাব রয়েছে তা পুরুন হবে বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং এ।

ভূমিকা

তীব্র এই গরমের দাবদাহে কাঁচা আমের শরবত আপনাকে দিতে পারে মনের মধ্যে প্রশান্তি। এই ছাড়াও কাঁচা আম কিন্তু আপনাকে আরও দিতে পারে টকমিষ্টি  ঝাল চাটনি সেই সাথে ভিটামিন সি ও এ সাধারনত কাঁচা আম দিয়ে আমের শরবতআমের পান্নাআমের ডালআমের চাটনিআমের ভর্তা  সেই সাথে বাঙালির আচার তো আছেই।

তবে এটিও জেনে রাখা ভালো যে কাঁচা আম শুধুমাত্র রসনা মুখের স্বাদই মেটায় না।এই আমগুলোর রসনা আপনাকে তীব্র দাবদাহ গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সাহায্য করিয়া থাকে।পুষ্টিবিদদের মতেকাঁচা আম বা আমের জুসে পটাশিয়াম থাকায় তীব্র গরমে সময় এটি শরীর বা দেহকেঠান্ডা রাখতে  প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে থাকে।

কাঁচা আমের ভালো গুন বলতে পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন যেএকশত ১০০ গ্রাম কাঁচা আমের মধ্যে পটাশিয়াম থাকে প্রায় চুয়াল্লিশ ৪৪ ক্যালরি এই ছাড়া চুয়ান্ন ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি  ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাঁচা আমের আরও যে সব গুনাগুন রয়েছে সেই সমস্ত গুনের বিষয়ে জেনে নিন।  যা সবখানেই  সব জায়গায় স্থান দখল করে থাকে।

কাঁচা আমের পাঁচটি গুনাগুন

  •  তীব্র গরমের সময় বাঁচতে
  •  রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে
  •  পেটের গোন্ডগোল কমাতে
  •  চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা করে
  •  মুখের সমস্যা থেকে রক্ষা করে

 তীব্র গরমের সময় বাঁচতে

তীব্র  প্রখর দাবদাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করতে বেশ ভালো কাজ করে এই কাঁচা  আম। এই ছাড়াও কাঁচা আম বিপদজনক সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।শরীরে বা দেহের মধ্যে সোডিয়াম ক্লোরাইড  আয়রনের ঘাটতি সমূহ পরিপুর্ণ করতেও এই কাঁচা আম অনেক উপকারি।

রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে

রোগ থেকে মুক্তি পেতে  দেহের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে কাঁচা আম খুবই উপকারী। কাঁচা আমে ভিটামিন ভিটামিন সি  একের অধিক অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে যা শরীরকে সুস্থ্য সবল রাখে আমের এইসব উপাদান গুলো শ্বেত রক্তকনিকার কাজ সমূহ বাড়াতে  শরীরের রোগ সমূহের  প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

পেটের গোন্ডগোল কমাতে

কাঁচা আম পেটের গোন্ডগোল কমাতে অ্যাসিডিটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদ হজমের সমস্যার সমাধান   করতে এটি খুবই উপকারী।তবে এখনও গ্রাম গঞ্জে অ্যাসিডিটির সমস্যাগুলোকে কমানোর জন্য কাঁচা আম সমূহ চিবিয়ে চিবিয়ে  খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে।

চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা করে

চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কাঁচা আমের যে লুটেইন  জিয়াজ্যান্থিন থাকে এটি খুবই  উপকারী হিসাবে কাজ করে।এই ছাড়াও চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষা করবার জন্য এই দুটো অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট খুব খুব উপযোগি।এর পাশাপাশি আবার কাঁচা আমে পাওয়া যায় ভিটামিন এ।ভিটামিন  চোখের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।

মুখের সমস্যা থেকে রক্ষা করে

কাঁচা আমে যেহেতু প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন  এবং সি পাওয়া যায়।তাই এটি মুখের নানা ধরনের ক্ষত সমূকে ভালো করার জন্য সাহায্য করে থাকে।এই ছাড়াও স্কার্ভি  মাড়ি ফোলা  রক্তপাতের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কাঁচা আম খুবই উপকারি

লেখকের মন্তব্য

অবশেষে আবারও বলতে চাই যে পাকা আম খেলে যেমন চোখের মধ্যে একটা ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে। কিন্তু কাঁচা আমের ক্ষেত্রে ভিটামিন  এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি রোগ বালাইকে দূর করার জন্য অনেক ভালো কাজ করে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url