৩০ বছর বয়সের আগে যে ৩০ টি কাজ করবেন
প্রিয় পাঠকগন, আজকে আপনারা জানতে পারবেন যে, আপনি আপনার জীবনে কয়টি কাজ করেছেন আর সেই সাথে আপনি জানতে পারবেন আসলে আপনার জন্য কোন ত্রিশটি ৩০ টি কাজ বেশী গুরুত্বপুর্ণ। যেগুলো আপনি আপনার বয়স ৩০ বছর হওয়ার আগেই বা পূর্বেই করা উচিত। সেই জন্য আপনারা আমার সাথে থাকুন আর আমার লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়োগ ভিত্তিক অনলাইন ম্যাগাজিন গ্রুপের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় সম্প্রতি তারা ৩০ টি কাজের তালিকা দিয়েছে যেগুলো ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই করে ফেলা উচিত বলে এই ম্যাগাজিনের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আপনিও মিলিয়ে নিন এই ৩০ টি কাজের মধ্যে আপনি কতগুলো করেছেন। সেই সাথে সাথে আপনার কাজের মান বা ধাপ গুলোকে যাছাই বাছাই করুন আর বাকি কাজ সমুহ শেষ করে ফেলুন।
৩০ বছরের আগে যে ৩০টি কাজ করবেন
- ১ সঞ্চয়
- ২ ব্যায়াম
- ৩ বই পড়া
- ৪ ক্রেডিট কার্ড
- ৫ নিজের খরচ বহন করা
- ৬ বন্ধু
- ৭ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- ৮ নিজেকে উপহার দেওয়া
- ৯ অর্থ জমানো
- ১০ ঝুঁকি নেওয়া
- ১১ কোডিং শেখা
- ১২ ভুল শুধরে এগিয়ে যাওয়া
- ১৩ অনলাইন ব্যবসা
- ১৪ বিয়ে করা
- ১৫ স্নাতক সম্পূর্ণ করা
- ১৬ সিজন থ্রি কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখা
- ১৭ ষ্টুডেন্ট লোন থাকলে পরিশোধ করা
- ১৮ মাতৃভাষা ও আন্তর্জাতিক ভাষার বাইরে তৃতীয় আরেকটি ভাষা শিখা
- ১৯ নিজের উপর দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া
- ২০ সামাজিক মানবিক কাজে নিজেকে যুক্ত করা
- ২১ সময়ের মূল্যায়ন করা
- ২২ নিজেকে সামাল দেওয়া
- ২৩ রান্না করতে শেখা
- ২৪ সমৃদ্ধ করা
- ২৫ স্পষ্ট ধারণা থাকা
- ২৬ পাঁচটি দেশে নিজের পায়ের ছাপ রাখা
- ২৭ পাবলিকেশন থাকা বা গবেষণা প্রকাশিত হওয়া
- ২৮ ড্রাইভিং লাইসেন্স
- ২৯ মাসে দশ হাজার টাকা জমানো
- ৩০ বাড়ি বা গাড়ি কেনা
সঞ্চয়
বিশেষ করে জরুরি অবস্থা জন্য সঞ্চয়ের কোন বিকল্প নেই কোভিদ এসে সেই সত্য আমাদের আরো বেশি করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে যে সঞ্চয় কতটা গুরুত্বপূর্ণ
ব্যায়াম
প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তোলা অন্তত ৪০ মিনিট জোরে হাঁটা বা ৩০ মিনিট সাইকেল চালানো অথবা সপ্তাহে দুই দিন সাঁতার কাটা তাহলে আপনার শরীর ঠিক থাকবে।
বই পড়া
বছরের অন্তত দশটি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ক্রেডিট কার্ড
আপনার নিজস্ব একটি ডেবিট কার্ড মার্কেটিং কার্ড থাকা অবশ্যক
নিজের খরচ বহন করা
নিজের সব খরচ নিজে বহন করতে পারা এটা আপনাকে নিজে নিজেই বহন করতে হবে।
বন্ধু
অন্তত দুইজন সত্যিকারের বন্ধু থাকা আবশ্যক।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
আপনার জীবন যাপনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
নিজেকে উপহার দেওয়া
আপনি নিজেকে নিজে উপহার দিন তাহলে আপনার কাজটি সফল হতে সময় লাগবে কম তিন মাসে একবার নিজেকে উপহার দিতে শিখুন।
অর্থ জমানো
বড় কিছু কেনাকাটা করার জন্য অর্থ জমানো বা অর্থ জমিয়ে মাঝেমধ্যে বড় কিছু করে ফেলা বা কিনে ফেলা যেমন ছয় মাস অত জমিয়ে নিজের পছন্দের ল্যাপটপ কেনা বা বিদেশ থেকে ঘুরে আসা।
ঝুঁকি নেওয়া
নিজের ভালোর জন্য সব কিছু দেখে শুনে বুঝে ঝুঁকি নিতে শিখুন সাফল্য পাবেন।
কোডিং শেখা
আপনি এই সময়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বা ফ্রিল্যান্ডসার সাইডে অনলাইন ব্যবেসাকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য কোডিং শেখা ও এটিকে মনে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ভুল শুধরে এগিয়ে যাওয়া
আপনার নিজের কাজের প্রতি যে সমস্ত ভুল করে থাকেন নিজের অজান্তে সেই সমস্ত থেকে বেরিয়ে আসুন আপনার ভুলকে শুধরে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান। এক কথায় ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে ভুল শুধরে এগিয়ে যাওয়া
অনলাইন ব্যবসা বা ব্লক খুলে ফেলা
আপনি এই সময় ঘরে বসে থেকেই অনলাইনে ব্যবসা বা ব্লক খুলে ফেলার মাধ্যমে আয় ইনকাম করতে পারেন। আপনার যদি এটি খোলা না থাকে তাহলে খুলে ফেলুন।
বিয়ে করে ফেলা
সম্পর্কে জড়ানোর পর পর বিয়ে করে নেওয়া ভালো। তবে একটা সম্পর্কে থাকা মানসিক ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
স্নাতক পাশ
অন্তত স্নাতক সম্পূর্ণ করার পরও চাইলে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন বা অন্য কিছু করতে পারেন
সিজন থ্রি কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখা
যেকোন ধরনের কাজের সাথে যুক্ত থাকা। তবে বিশেষ করে আপনার সাথে যেগুলো মিলে যায় বা চলে সেই সমস্ত কাজ করুন। তবে একটি নয় প্রায় দুই তিনটা কাজের সাথে সম্পৃত বা যুক্ত থাকুন।
স্টুডেন্ট লোন
আপনার যদি কোন প্রকার ছাত্র থাকা অবস্থায় লোন থেকে থাকে তা পরিশোধ করুন। যদিও এই পয়েন্টটি আমাদের দেশের জন্য অতটা প্রয়োজন নয়।
ভাষা শিক্ষা
মাতৃভাষা ও আন্তর্জাতিক ভাষার বাইরে তৃতীয় আরেকটি ভাষা শিক্ষা আয়ত্বো করুন।
নিজের উপর দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া
নিজেকে ছড়িয়ে দিন ভালো কাজ করার মাধ্যমে যা দেখে অন্যেরা উৎসাহ বা উৎসাহিত হবে এমনটা কাজ করুন।
সামাজিক মানবিক কাজে নিজেকে যুক্ত করা
নিজেকে অল্প করে হলেও সামাজিক কাজে যুক্ত থাকুন। কারণ মানবিক ও সামাজিক কাজ করা সবার জন্য কল্যান বয়ে আনে।
সময়ের মূল্যায়ন করা
আপনি যা কিছুই করুন না কেন। আপনার সময়ের প্রতি সচেতন হতে হবে। সেই সাথে সাথে সময়ের ব্যবহার ঠিক মত হচ্ছে কিনা সেইজন্য সময়ের মূল্যায়ন করুন।
সম্পর্ক ভেঙে গেলে নিজেকে সামাল দিতে পারা
যে কোন সম্পর্কো ভেঙে গেলে নিজেকে ধর্য্য ধরে সামাল দিন।
রান্না করতে শেখা
আপনি নিজের জন্য হলেও রান্না করতে শিখুন যা আপনার জন্য মঙ্গলদায়ক।
নিজেকে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করা
আপনি নিজেকে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত অন্যের কাছে সমৃদ্ধ করুন। অন্যের কাজে যেন প্রয়োজন পড়ে এই ধরনের কাজ করুন।
আপনি জীবনে কি করতে চান সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া
আপনি আপনার জীবনে কি করতে চান সেই বিষয়ে আপনার স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে। তাহলে আপনি আপনার এই কাজটি শিখে ফেলুন।
অন্তত পাঁচটি দেশে নিজের পায়ের ছাপ রাখা
আপনি আপনার জীবনে বেশী না হলেও অন্তত বাইরের ৫টি দেশে আপনার নিজের পায়ের ছাপ রেখে আসুন দেখুন অল্প স্বল্প জ্ঞান আহরন করুন। সময় থাকতে এই কাজ গুলো করে ফেলুন।
নিজের পাবলিকেশন থাকা বা গবেষণা প্রকাশিত হওয়া
আপনি আপনার নিজের কোন লেখা বা পাবলিকেশন এর জন্য কাজ করুন যা অন্যেরা গবেষনা করে প্রকাশিত করবে এই ধরনের কাজ করুন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা
আপনার ব্যক্তিগত ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। যদি আপনার লাইসেন্স না থেকে থাকে তাহলে করে ফেলুন।
মাসে অন্তত দশ হাজার টাকা জমানো
আপনি অন্তত মাসে ১০ হাজার টাকা জমান। আর এটি করতে পারলে আপনার মন্দের চেয়ে ভালোটা হবে। আর এই সব কাজ আপনার বয়স ৩০ হওয়ার আগেই করে ফেলুন। পরে যাতে পোস্তাতে না হয়।
বাড়ি ও গাড়ি
নিজের প্রথম বাড়ি বা গাড়ি কেনা যদিও এটি মানুষের প্রেক্ষাপটে কঠিন। তবুও আপনি চাইলে এটি করতে পারেন। না পাবার কিছুই নেই। একটু চেষ্টা করে দেখুন বাড়ি গাড়ি আপনার হাতে ধরা দেয় কি না।
সফলতার পাঁচটি গোপন রহস্য
- ১ লক্ষ্যের স্থির থাকা
- ২ নিজের মন ইতিবাচক রাখুন
- ৩ নিজের কৌশল নিজে তৈরি করুন
- ৪ সময়ের মূল্য দিন
- ৫ নিজে যাত্রা উপভোগ করুন
লক্ষ্যের স্থির থাকা
সফল ব্যক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল তারা তাদের লক্ষ্যের প্রতি অনুরাগী থাকেন। স্থির লক্ষ্য প্রতিটি মুহূর্তে তাদের পেতে থাকে তারা লক্ষ্য কি ছোট ছোট ভাগের ভাগ করে নিন। আর সিঁড়ি বেয়ে ওঠার মতো একটু একটু করে সেগুলো অর্জন করেন একসময় তারা সফলতা সর্বোচ্চ চূড়ায় স্পর্শ করেন। বেঁচে থাকার জন্য যেমন অক্সিজেন প্রয়োজন।
তেমনি জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাছাকাছি যাওয়া প্রয়োজন। সহজ কথায় আপনার প্রতিটি কাজ হোক জীবনের লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।
নিজের মন ইতিবাচক রাখুন
সফল ব্যক্তিদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো তারা পরবর্তী বা ব্যর্থতার কথা ভাবেন না। যদি আপনি নিজের সফলতা বিশ্বাস করতে না পারেন তবে সফলতা কিভাবে আপনার কাছে আসবে দুর্ঘটনা বা ভুল থেকে শিক্ষা নিন। ভালো মুহূর্তকে স্মৃতি হিসেবে তুলনা করে তুলে রাখুন। নেতিবাচক কোন কিছু থেকে ইতিবাচক গ্রহণ করুন মন ফুললি খুলে রাখুন।
নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। ভাবুন কি পরিকল্পনা করেছেন আরসি অনুযায়ী কি করছেন কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না কিছুটা ছেড়ে দিন সময়ের হাতে।
নিজের কৌশল নিজে তৈরি করুন
সফল ব্যক্তিদের তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলো তারা অন্যের বানানো কৌশল অনুসরণ করেন না। তারা নিজেদের কৌশল নিজেরা তৈরি করেন। সব সময় মনে রাখবেন অন্যরা সবল তার যে ছক বানিয়েছেন সেটি কেবল তাদের নিজেদের জন্য আপনার জন্য নয়। আপনি সেখানে ফিট নাও হতে পারেন এই জন্য প্রথমত আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানতে হবে।
সব সম্ভাবনা যাচাই করে নিতে হবে আর ঝুঁকি নিতে হবে তবে বুঝে শুনে ঝুঁকি নিবেন।
সময়ের মূল্য দিন
নিরক্ষক কাজের সময় অপচয় করবেন না আমরা সবাই কমবেশি খুব সাধারণ একটা ভুল করি সময় বিনিয়োগ করার আগে সেখান থেকে কি রিটার্ন পাচ্ছি সেটা ভাবি না যে কোন নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সেটাকে লাভজনক অবস্থায় নিতে হবে।
নিজে যাত্রা উপভোগ করুন
সফলতার সবচেয়ে বড় সূত্র এটাই আপনি যা করছেন সে কাজটি ভালোবেসে করা খুব আগ্রহ নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত ভোগ করে করা ব্যর্থতায় ভেঙে না পড়ে নতুন উদ্যোগে চাকরি করা তাহলে আপনি আপনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবেন।
লেখকের মন্তব্য
আমাদের জীবনে নেতৃত্ব আমরা নিজেরাই দিয়ে থাকি। তাই নিজের জীবন পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমাদের নিজেদের আছে যদি সফল হতে চান। তবে এই পাঁচটি কাজ অবশ্যই করুন সফল ব্যক্তিদের এই পাঁচটি গোপন কথা জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় উন্নয়ন ম্যানেজিং কিচ ফর সাকসেস আপনারা জেনে নিন সেগুলো আর সেই মত কাজ করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url