আপনার মনকে প্রশান্ত রাখবেন কিভাবে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠকগন, আজকে আমি আপনাদেরকে জানাব আপনারা কি করলে আপনাদের মনে শান্তি ভাব নিয়ে আসবেন। প্রত্যেকটা মানুষ শান্তির জন্য দেশ থেকে দেশান্তরে ভ্রমন করে থাকে শুধুমাত্র একটু শান্তির জন্য। আর সেই জন্যই আমি আপনাদের মাঝে এই বিষয়ে জানাতে চাই যা পড়ে আপনার মনে সহজে প্রশান্তি খুঁজে পাবেন।

আপনার মনকে প্রশান্ত রাখবেন কিভাবে বিস্তারিত জানুন

আপনি যদি আপনার মনের মধ্যের কোন খারাপ বাসনা পুষে রাখেন আর সেটি থেকে নিজেকে বের করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিচের এই বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিয়ে ও মন প্রাণ দিয়ে পালন করার চেষ্টা করতে হবে।

ভূমিকা

কখনও কারও মন খারাপ হয়নি এই ধরনের মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ ব্যাপার। কারণ কারও মন খারাপ হয়নি এমন লোক কমই আছে বা নাই বললেই চলে। ব্যক্তিগত ভাবে, সামাজিক ভাবে, রাষ্ট্রীয় ভাবে এমনকি বৈশ্বিক যে কোনও ধরনের সমস্যা আমাদের মন খারাপের কারণ হতে পারে।

তবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ্য সবল থাকতে আমাদের মন ভালো থাকা কিন্তু খবুই প্রয়োজন। শান্ত সবল মন আমাদের সুখের অনুভুতি দিতে পারে সেই সাথে মনের জোর বাড়াতে কাজ করে। আমাদের কর্মমুখর জীবনই মানুষকে রাখে আনন্দিত ও সুখী সমৃদ্ধ জীবন।

তাই আসুন আমরা সবাই মিলে মনকে শান্ত রাখার জন্য এই সব বিষয় গুলোকে মনের মধ্যে গেঁথে রাখি।

যে সকল উপায়ে মনকে প্রশান্ত রাখা যায় তার বিস্তারিত তথ্য

  • রাগ নিয়ন্ত্রণ করা
  • খারাপ চিন্তা না করা
  • পরিবারের সাথে সময় কাটানো
  • শরীর চর্চা করা
  • প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া

রাগ নিয়ন্ত্রণ করা

হাসি কান্না, ভালোবাসা, ঘৃণার মত রাগও আমাদের সহজাত একটি আবেগ। আমরা সবাই কমবেশি এই আবেগের বশবর্তী হই। তবে মাত্রাতিরিক্ত রাগ আমাদের জীবনে নেতিবাচক ফলই  বয়ে নিয়ে আসবে। অনিয়ন্ত্রিত রাগ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে, সম্পর্কের মধ্যে ছেদ তৈরি করতে পারে।

রাগ নিয়ন্ত্রণে রেখে শান্ত মনের অধিকারি হয়ে হতে চাইলে ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন।

খারাপ চিন্তা না করা

খারাপ চিন্তা আমাদের মনকে বিক্ষিপ্ত করে দেয় আর ব্যাক্তি ‍ও পারিবারিক জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে। সেই জন্য খারাপ বা নেতিবাচক চিন্তা থেকে মনকে আমরা যত দূরে রাখতে পারব মন ততোই ভালো থাকবে। খারাপ চিন্তা মাথায় আসলে সৃজনশীল কাজ করার মাধ্যমে।

এইছাড়াও গান শোনার মাধ্যমে বা অন্য কোনও উপায়ে আমরা এর থেকে মনোযোগকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারি।

পরিবারের সাথে সময় কাটানো

মানুষের জীবনে পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরিবারের সদস্যের সাথে   সম্পর্ক যত ভালো হবে জীবন ততোই সুন্দর হবে। পরিবারের সাথে সূখী জীবনের জন্য নিবিড় ও গভীর সম্পর্ক স্থাপন করা জরুরি। পরিবারের সাথে কাটানো সুন্দর সময় আমাদের মনকে অনেক শান্তি দিতে পারে।

শরীর চর্চা করা

আমাদেরকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থতার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা দরকার। নিয়মিত শরীর চর্চায় ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। সেই সাথে বাড়তি মেদ ঝরে গিয়ে সুস্থ্য সবল ও ঝরঝরে থাকে শরীর। প্রতিদিনের শরীর চর্চায় দেহ ও মন প্রফুল্ল থাকে, সেই সাথে বাড়ে কাজের আগ্রহ।

শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চার ফলে আমরা আমাদের মনকে প্রশান্ত বা শান্ত রাখতে পারি।

প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া

আমরা প্রায় সবাই জানি নদী সাগর, পাহাড় কিংবা ঝরনার কাছে গেলে আমাদের প্রত্যেকেরই ভালো লাগে। কারণ প্রকৃতির স্পর্শ আমাদের মানসিক চাপ কমাতে পারে। মন ও মানসিক ঠিক রাখার জন্য আমরা দিনের কিছুটা সময় সবুজ ঘাসে হাঁটহাঁটি ও চলাচল বা বসতে পারি।

এই ছাড়াও গাছপালা ঘেরা শান্ত শিষ্ট কোনও ভালো যায়গায় কিছুক্ষন বসতে পারি। ক্লিনিক্যাল সাইকলোজিস্ট লিলিয়ান জানান, মানব শরীরের অনেকগুলো হরমোনের মধ্যে চারটি মৌলিক হরমোন হলো:

  • ১ ডোপামিন
  • ২ সেরোটোনিন
  • ৩ অক্সিটোসিন ও
  • ৪ এন্ডোরফিন

এইগুলোকে হ্যাপি হরমোন বলা হয়। আমাদের দেহে এদের মাত্রা বেড়ে গেলে মস্তিষ্ক শিথিল ও শান্ত থাকে। এতে আমরা হাসি খুশি আর প্রাণবন্ত থাকি। কিছ কিছু নির্দিষ্ট খাবার যেমন আমাদের শরীরে আনন্দদায়ক হরমোনের নি:সরণ বাড়াতে পারে। তেমনি কিছু কাজও আমাদের তাড়াতাড়ি বা দ্রুত এই হরমোনের নি:সরণ বাড়ায়।

যেমন:

  • ডার্ক চকলেট খেলে আমাদের মন ভালো থাকে,
  • খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলেও মন ফুরফুরে হয়।
  • এছাড়াও সুষম খাবার খাওয়া
  • স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা
  • পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো

শখের কাজ করা ইত্যাদি এগুলো আমাদের মন ভালো রাখতে সহায়তা করে। আত্মবিশ্বাস বাড়ান, শরীরচর্চা করুন, নতুন নতুন দক্ষতার সাথে পরিচিত হোন, স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন। মোট কথা জীবনকে উপভোগের জন্য চেষ্টা করুন।

লেখকের মন্তব্য

শান্তি বা প্রশান্তি কে না চাই। আমরা সবাই জানি সুখ একটি মানবিক অনুভুতি। শান্তি বা সুখ মনের একটি অবস্থা বা অনুভুতি যা ভালোবাসা, তৃপ্তি, আনন্দ ও উচ্ছ্বাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। মানসিক, জৈবিক, মনস্তাত্ত্বিক, দর্শনভিত্তিক। সুখ বা পরম শান্তি ও প্রশান্তি নামের বিভিন্ন অর্থ হচ্ছে সংস্কৃত অর্থ ও সর্ব্বোচ শান্তি।

তাই আসুন আমরা সবাই মিলে একত্রে সুখে ও শান্তিতে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url