চুলের যত্নে দই ও মধুর ব্যবহারের বিস্তারিত তথ্য জানুন
প্রিয় পাঠকগন আজকে আমি আপনাদেরকে চুলের বিষয়ে জানাতে চাই। আপনি আপনার চুলকে কিভাবে স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর ঝলমল করে রাখবেন সেই বিষয়ে অবগত হবেন। এইছাড়াও কিভাবে চুলের মধ্যে এইগুলো লাগালে বা দিলে চুলের মান অনেক সতেজ ও তরতাজা থাকবে সেই সাথে বলবান থাকবে।
ভুমিকা
আপনি আপনার চুলের যত্নে দইয়ের সাথে মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন হেয়ার প্যাক। সেই সাথে আপনি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে দারুন ভাবে কাজ করে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দই। আমাদের মাথার ত্বককে শুধুমাত্র হাইড্রেটেড রাখতেই নয়, মাথার চুল পড়া ও খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করবার জন্যও এই দই খুবই অতুলনীয় ভুমিকা হিসাবে পালন করে থাকে।
আমরা সবাই প্রতিনিয়ত দই খেয়ে থাকি। কিন্তু নিয়মিত দইয়ের প্যাক ব্যবহার করলে মাথার চুল যে এত সুন্দর ও মৃসন ঝলমল হয় তা অনেকেই জানতাম না ঠিক নয় কি। আসলে দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিস্কার করতে সাহায্য করে থাকে। দই আপনার ত্বকের মৃত কোষ গুলোর হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। এর ফলে আপনার চুলের গোড়া মজবুত থাকে।
দই আপনার চুলের বৃদ্ধিতে দ্রুত কাজ করে থাকে। তাই আপনার প্রয়োজন অন্তত প্রায়শই দই ব্যবহার করা। কারণ দই ব্যবহারে আপনার চুল পড়া, চুল পাকা, চুলে জট, রুক্ষুতা, খুশকি ফ্লেকস, তৈলাক্ত স্ক্যাল্প ও হেয়ার মাস্ক থেকে রক্ষা করে। সেই জন্য শুধুমাত্র দই না খেয়ে দইকে আপনার চুলের যত্নে ব্যবহার করুন আর উজ্জ্বল চুলের সমাহার দেখুন।
কোন কোন উপায়ে চুলে দই ও মধু লাগাবেন
- ১ চুলের রুক্ষতা ও খুশকি
- ২ চুলকে ঠিক রাখতে
- 3 ঝলমলে ও শক্তিশালী চুলের জন্য
- ৪ চুলে ডিমের ব্যবহার
- ৫ চুলে কলার ব্যবহার
- ৬ চুলে অলিভ তেলের ব্যবহার
- ৭ মেথির পেষ্টের ব্যবহার
চুলের রুক্ষতা ও খুশকি
টক দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। চুলের রুক্ষতা ও খুশকি দূর করতে সহায়ক এই প্যাক। তাই সময় মত ও ঠিক মত ব্যবহার করলে আপনার চুলের রুক্ষতা ও খুশকি সহজেই দূর হবে।
চুলকে ঠিক রাখতে
লেবুর রসের সাথে টক দই মিশিয়ে তার সাথে কয়েক ফোঁটা রোজমেরি অয়েলও মিশিয়ে নিতে পারেন। মিশ্রনটি প্রায় ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে এটিকে ধুয়ে ফেলুন।
ঝলমলে ও শক্তিশালী চুলের জন্য
চুলকে শক্তিশালী ও ঝলমল করতে চাইলে ডিমের সাথে দই মিশিয়ে নিবেন। তারপর ভালো ভাবে এটিকে চুলের আগা থেকে গোড়ালি পর্যন্ত লাগাবেন। ত্রিশ ৩০ থেকে চল্লিশ ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলবেন।
চুলে ডিমের ব্যবহার
মধুর সাথে দই ও ডিম মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। এই প্যাকটিকে চুলের কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। কারন এটি কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে।
চুলে কলার ব্যবহার
টক দয়ের সাথে কলা চটকে মিশিয়ে নিবেন। চুলকে মোলায়েম করতে এই প্যাকটি দারুন কার্যকর।
চুলে অলিভ তেলের ব্যবহার
এক ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, তিন ৩ টেবিল চামচ দই এবং আধা চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার একসাথে মিশিয়ে নিবেন। মিশ্রণটি চুলের দৈর্ঘ্যে প্রয়োগ করুন। চুলের গোড়ায় লাগানোর প্রয়োজন নেই।ত্রিশ ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন আর সেই সাথে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। চুল মজবুত স্বাস্থ্যকর ও হাইড্রেটেড রাখতে।
মেথির পেষ্টের ব্যবহার
সারারাত মেথি ভিজিয়ে রেখে পরের দিন এটিকে পেস্ট করে নিন। এক কাপ দইয়ের সাথে মেথির পেস্ট মিশিয়ে মাথার তালুতে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতি সপ্তাহে দুইদিন এটিকে ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়ে যাবে।
লেখকের মন্তব্য
আজকে আপনারা এটি পড়ার পর জানতে পেরেছেন যে, চুলকে শক্তিশালী ও ঝলমলে সৌন্দর্য মন্ডিত করতে চাইলে এই সমস্ত জিনিষের ব্যবহার অপরিহার্য। তাই আপনারা এই সব জিনিষ অর্থাৎ দই, ডিম, কলা, অলিভ তেল, মেথি, মধু ও লেবু ব্যবহার করে সব সময়ের জন্য নিজেকে ও নিজের চুল গুলোকে ভালো ও সৌন্দর্য ঝলমলে করে রাখুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url