ত্বক হবে সোনার মতো উজ্জ্বল ও ঝকঝকে কমলালেবুর খোসার ব্যবহারে
প্রিয় পাঠকগন, আজকে আপনাদেরকে আমি জানাব কমলালেবুর খোসার ব্যবহারের ফলে ত্বক হবে সোনার মতো উজ্জ্বল ও ঝকঝকে। সেই সাথে আরও জানতে পারবেন কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন সমূহ। কমলালেবু কখন খাবেন দিনে, রাত্রে নাকি খাওয়ার আগে,পরে কখন খাওয়া ভাল।
সেই সাথে আরও জানবেন শীতকাল মানে বাজারে অনেক অনেক পরিমাণে কমলালেবু পাওয়া যায়।আপনি কমলালেবু খাবেন আর তার খোসাগুলো বাটা দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের রূপচর্চা করুন।
ভূমিকা
কমলালেবুর মধ্যে থাকা পুষ্টি আমাদের দেহে ইমিউনিটি বাড়াতে এবং সর্দি ও কাশির সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে থাকে। কমলালেবুর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও অিনেক রকমের ভিটামিন ও মিনারেল আছে যা আপনার শরীরকে সার্বিক দিক দিয়ে উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে। কমলালেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে।
এই সময় আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে কমলা খেতে পারেন তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বেড়ে যাবে। কারণ কমলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি। এইসব পুষ্টি উপাদান বা গুনাগুন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে থাকে।
এই ছাড়াও আমাদের মস্তিস্ককে শক্তিশালী করতেও কমলা ফলটি অনেক ভাবে সাহায্য করে থাকে। তাই অত্যন্ত দিনে একটি বা দুটি করে কমলালেবু ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন যেন শরীরকে সুস্থ্য সবল রাখে।
কিভাবে মাত্র ৫টি ফেসপ্যাককে সহজেই ব্যবহার করবেন দুধের মালাই হিসেবে
- ১ মধু, মালাই ও কমলালেবুর খোসার গুঁড়া
- ২ দুধ, কমলালেবুর রস ও খোসা
- ৩ দুধ, অ্যালোভেরা জেল ও কমলালেবুর খোসা
- ৪ টক দই, কমলালেবুর খোসা ও আমন্ড বাদাম
- ৫ গোলাপজল, চন্দন গুঁড়া ও কমলালেবুর খোসা বাটা
মধু, দুধের মালাই ও কমলালেবুর খোসার গুঁড়া
প্রথমে দুধ গরম করে নিয়ে তার উপরে যে মোটা করে ছালি বা সর পড়ে যায় সেই ছালি বা সরকে ভালো করে তুলে রাখুন। আর এটিই হলো আপনার বানানো দুধের মালাই। আপনি মালাই এর সাথে মধু, কমলালেবুর খোসা গুঁড়া মিশিয়ে যদি দিনে অত্যন্ত দুই বার ভালো করে মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন তাহলে মুখ মন্ডল ও ত্বক হবে ঝকঝকে সুন্দর।
দুধ, কমলালেবুর রস ও খোসা
আপনারা সবাই জানেন যে শীতকাল গত হয়ে গেছে অনেক আগেই। তবে সামনে আবারও শীতকাল আসবে আর তখন বাজারে প্রচুর পরিমাণে কমলালেবু পাওয়া যায়। তবে সেই ক্ষেত্রে এখনই যদি কোন কমলালেবু না পেয়ে থাকেন। তাহলে দুধের সাথে আপনি ব্যবহার করতে পারেন পাতিলেবুর রস। কিন্তু শীতকালে কমলালেবুর রস ব্যবহার করবেন।
কমলালেবুর রস ও খোসা মিশিয়ে ত্বকে প্রায় আধা ঘন্টা মেখে রেখে দিন তারপর পরিস্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আর দেখুন আপনার মুখ মন্ডল বা ত্বকটি কত সুন্দর ও চকচকে হয়েছে।
দুধ, অ্যালোভেরা জেল ও কমলালেবুর খোসা
দুধের সাথে অ্যালোভেরা জেল ও কমলালেবুর খোসার গুঁড়া খুব ভালো ভাবে মিশিয়ে নিবেন। তবে মিশ্রণটি আপনি ফ্রিজেও রাখতে পারবেন আর এটিকে আপনি নাইট ক্রিম বা রাত্রের ক্রিম হিসাবে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এই ভাবে করে মাখতে পারলে অনেক উপকার পাবেন। আর ত্বক হবে উজ্জ্বল ঝকঝকে।
টক দই, কমলালেবুর খোসা ও আমন্ড বাদাম
আপনাকে প্রথমে আমন্ড বাদামকে হাতুড়ি দিয়ে খুব ভালো ভাবে গুঁড়া করে নিতে হবে। তারপরে তার সাথে টক দই, কমলালেবুর খোসার গুঁড়া গুলাকে ভালো করে মিশিয়ে মুখের মধ্যে বা ত্বকে লাগিয়ে নিবেন। তখন এটি স্ক্রাবার হিসাবে খুব ভালো কাজ করে থাকবে। সেই সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন কয়েক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া। অনেক ভালো উপকার পাবেন।
গোলাপজল, চন্দন গুঁড়া ও কমলালেবুর খোসা বাটা
আপনি প্রথমে কমলালেবুর খোসা বাটা, মালাই ও চন্দনের গুঁড়াকে মিশিয়ে নিন গোলাপজলের সাথে। এর সম্পুর্ণ মিশ্রণটিকে আপনি ফ্রিজে রেখে এটিকে প্রতিদিন ক্রিম হিসাবে মাখতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য
আপনার যদি উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থেকে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহারের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সুপরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন মনে করি। তাছাড়াও যে কোন ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই কথা বলে নেবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url