লাল বা বেগুনী বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ

প্রিয় পাঠকগন, আজ আমরা এখানে লাল ও বেগুনী বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আর পুষ্টির দিক দিয়ে লাল বিট নাকি বেগুনী বিট কোনটিবেশী বেশী করে আমাদেরকে খেতে হবে সে সম্পর্কে যারা যারা বেশী করে জানতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই এই লেখাটি পড়তে থাকুন।

লাল বা বেগুনী বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ

এক সপ্তাহ বা সাত ৭ দিন নিয়ম মাফিক মাত্র এক গ্লাস করে বিট রুটের জুস খান আর দেখুন আপনার সমস্যার সমাধান বা উপকার হয় কি না। বিট রুট সাধারনত এমনিও খাওয়া যায় যেমন ধরুন প্রথমে এটিকে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করবেন। তারপর এটির চামড়াকে হালকা ভাবে তুলে দিয়ে বা চামড়া ছিঁলে নিয়েই এটি খেতে পারেন। 
এই বিটরুট গুলো বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াই।

লাল সবুজ বিট রুট প্রায় ৮ থেকে ১০ টি রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে থাকে

লাল সবুজ বিটরুট খেলে বিশেষ করে এই সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে উপকার পাবেন যেমন:

  • হার্টের সমস্যা সমাধানে এটি কাজ করে
  • হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
  • আর্থ্রাইটিস বা হাড় ক্ষয় রোধ করে
  • ক্যান্সার হ্রাস করে
  • লিভারের সমস্যা সমাধানে কাজ করে থাকে
  • স্ট্রোক হওয়ার হাত থেকে সুরক্ষা পেতে
  • হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিট রুট
  • ধমনীকে সুস্থ রাখে
  • বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াই

পুষ্টিগুনে ভরপুর এই লাল টুক টুকে বিটরুট

এই লাল টুকটুকে বিট রুটটি খেতে দারুন এটি অনেক সুস্বাদু ও মিষ্টি । বিট রুট সবজিটির অনেক পুষ্টিগুন থাকায় এখন থেকে এটির অনেক চাহিদা বেড়ে গেছে। প্রতিটি বিট রুটের ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম হয়ে থাকে। এই বিট রুট গুলোকে বাজারে প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়ে থাকে। 

লাল বিট রুট এবং বেগুনী উভয়টিতেই যাহা যাহা পাওয়া যায় ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, আইরন, পটাসিয়াম, মেগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। প্রাচীন কাল থেকেই নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা কমাতে এটি ব্যবহার করে আসছে। 

বিট রুটে এন্টিওকসিডেন্ড থাকায় রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আর এটি ক্যান্সার সহ কন্ঠনালী প্রদাহ রোগের বিভিন্ন ঝুঁকি হ্রাস করে। এই ছাড়াও এটি লিভারে চর্বি জমতে দেয় না। বিট রুটের জুস তৈরি করার নিয়ম বিট রুটটিকে প্রথমে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুঁয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। 

তারপর বিট রুটটির ছাল গুলোকে কেটে নিতে হবে। এরপর সম্পূর্ন বিট রুট গুলোকে ব্লান্ডারে সামান্য পানি মিশিয়ে বা পরিমাণ মত পানি দিয়ে ব্লান্ডার করে নিতে হবে আর ব্লান্ডার করা শেষ হয়ে গেলে তখন এটি জুস হিসেবে আপনার খাবারের জন্য বা পানীয়ের জন্য প্রস্তুত। বিট রুটের এই জুসটিকে আপনি সকাল বেলা এবং বিকাল বেলা খেতে পারেন।

বিট রুট কারা কারা খাবেন

বিট রুটটি তারাই খাবেন যারা দেহের দিক দিয়ে সুস্থ ও সবল আছেন। এই ছাড়াও যাদের এলার্জি জনিত কোন ধরনের সমস্যা নেই এবং যাদের কিডনিতে কোন সমস্যা নেই বা কোন ধরনের পাথর পাওয়া যায়নি। এই ছাড়াও যাদের কোন ধরনের লো প্রেসার নেই এমন কি যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় নাই।

বিট রুট কারা কারা খাবেন না

যাদের শরীরের মধ্যে বা দেহের মধ্যে বিশেষ কিছু সমস্যা রয়েছে তারা এই বিট রুটটিকে খাবেন না। যেমন:

  • নিরমনুষ রক্ত চোষের সমস্যা যাদের রয়েছে
  • লো প্রেসার যাদের রয়েছে
  • যাদের ডায়াবেটিস আছে
  • কিডনিতে যাদের পাথর রয়েছে
  • যাদের ত্বক বা শরীরে এলার্জি রয়েছে

লেখকের মন্তব্য

এই সমস্ত বিষয়গুলো যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনার বিট রুট খাবারের ফলে অনেক উপকার পাবেন আর রোগ বালায়ের হাত থেকেও রক্ষা পাবেন। আর এই বিষয়গুলোকে যদি মেনে না চলতে পারেন তাহলে আপনার উপকারের চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হয়ে যাবে। সেই জন্য বিট রুট খাওয়ার আগে এই বিষয়গুলোকে সব সময় মাথার মধ্যে গেঁথে রাখবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url