পাকা আমের মিষ্টি খাঁটি জুস দুইভাবে তৈরি করুন

পাকা আমের মিষ্টি খাঁটি জুস দুইভাবে তৈরি করুন

প্রথমে পাকা আমগুলোকে ধুয়ে পরিস্কার করুন। তারপর, আমের খোসাগুলোকে ছাড়িয়ে আমের শাঁসগুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। এরপর একটি ব্লেন্ডার মেশিনের ভিতরে সেগুলোকে রাখুন। আমগুলোকে ভাল ভাবে ব্লান্ডারের মেশিনে ব্লেন্ড করে নিতে তাতে পরিমাণ মত দুধ দিন।

আবার ভাল ভাবে ব্লান্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে জুসটি মসৃণ করে নিন। এরপর আবারও অল্প কিছু বরফের টুকরো দিয়ে আবারও আরেকবার এটিকে ব্লান্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে নিন।

দ্বিতীয়ত এবারও আগের মত আমগুলোকে ধুয়ে পরিস্কার করে খোসাগুলোকে ছাড়িয়ে নিন। এরপর আমগুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে ব্লান্ডার মেশিনের ভিতরে রাখুন। আমের সঙ্গে পরিমাণ মত লবণ,চিনি,পানি,লেবুর রস এছাড়াও বিট লবণ মিশিয়ে ব্লেন্ডার মিশিন দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লান্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করার পর আঁশ থাকলে সেগুলোকে ছেঁকে নিন। 

এবার আমের তৈরি জুসটি পান করার জন্য উপযুক্ত বা খাওয়ার জন্য তৈরি। আপনি যদি চান বরফ মিশিয়েই পাকা আমের খাঁটি জুসটিকে পান করতে পারেন। এছাড়াও পাকা আমের খাঁটি জুসগুলোকে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখেও এটি পান করা যায়।

পাকা আমের খাঁটি জুসের অনেকগুলো গুনাগুন রয়েছে

স্বাদের দিক দিয়ে বা মিষ্টি স্বাদের পরিপূর্ণ একটি ফল হল পাকা আম। সকল ধরনের ফলের মধ্য থেকে আম হলো অন্যতম। পাকা হোক বা কাঁচা হোক যারা আম খেতে ভালবাসে তাদের কাছে আম হলো ফল গুলোর মধ্যে সুস্বাদু ও প্রিয় একটি ফল। আম খেতে ভালবাসেন না এই রকম মানুষ নাই বললেই চলে। আমের মধ্যে ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। 

আমের মধ্যে ভিটামিন ও খনিজের গুনে ভরপুর থাকায় এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক অনেক উপকারী। কাঁচা আম হোক বা পাকা আম হোক রুপ বিশেষগ্গরা বলছেন, আমের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, বিটা ক্যারোটিন মুখমন্ডল বা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য সমপরিমান বা সমান গুরুত্বপূর্ণ। 

সেই জন্য গরমকালে কাঁচা আম বা পাকা আম খাওয়ার পাশাপাশি আমের ছাল বা আমের বাকি অংশ টুকু দিয়ে মুখ মন্ডলের বা ত্বকের যত্ন নিতেই পারেন আর মুখ মন্ডলের বা ত্বকের যত্ন নিলে আপনি উপকৃত হবেন।

মুখ মন্ডলের বা ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখে

আমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। এই ছাড়াও স্বাস্থ্যকর ও ভালো ত্বকের জন্য ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এই দুটির সংমিশ্রনের ফলে মুখ মন্ডলের বা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। 

বিশেষ করে যে সকল লোকদের মুখ মন্ডল বা ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ, সেই সমস্ত লোকেরা মুখ মন্ডল বা ত্বকের পিচ্ছিলতা বজায় রাখতে ও ঠিক রাখতে মুখ মন্ডলে বা ত্বকে আমের ছোলা বা আমের বাকি অংশ টুকুকে বেটে মাখতে পারেন।

খের ব্রণ কমায়

মুখ মন্ডলে বা ত্বকের মধ্যে তৈরিকারী বা জম্মদানকারী ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ কমাতে পারে এই পাকা আম গুলোই। শুধু এইগুলোই নয়, ব্রণ থেকে হওয়া ইনফেকশন রোগ কমাতেও পারে এই পাকা আম। সেই জন্য দেরি না করে এগুলোর প্রতি মনোযোগ দিন।

মুখ মন্ডল বা ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে

মুখ মন্ডলের বা ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরাবার জন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করেছেন, কিন্তু আপনার বিশেষ ধরনের কোন লাভ হয়নি। আপনার আশেপাশের দোকান থেকে ক্রয় করা প্রসাধনী বাদ দিয়ে একবার ভরসা রাখুন এই আমের মধ্যে। 

আমের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি আর ভিটামিন এর পরিপূর্ণ এই ফল মুখমন্ডলের বা ত্বকের উজ্জ্বলতাকে ধরে রাখতে অনেক সাহায্য করে থাকে। মুখ মন্ডলের বা ত্বকের সমস্ত দাগগুলোকে দূর করে দেয়।

যৌবন কাল বা তারুণ্য বজায় রাখে

আজকাল সারাদিন ধরে মোবাইল, টেপ এবং ল্যাপটপের সামনে চোখ মুখ ধাক্কাধাক্কি করতে করতে মুখ মন্ডলে বা ত্বকে মধ্যে বয়সের ছাপ পড়েছে। এই জন্য এই পাকা আমের অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ থাকায় ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে আর সেই সাথে উজ্জ্বলাকে ধরে রাখে। সেই জন্য মুখ মন্ডলে বা ত্বকের মধ্যে সহজে বলিরেখা পড়তে পারে না।

চোখের নিচের ফোলা ভাব কমায়

পাকা আমের মধ্যে পরিপূর্ণ ভিটামিন কে K থাকায় চোখের নিচের ফোলা ভাব ও চোখের নিচে কালি পড়ে যাওয়াকে সহজে দূর করতে পারে। আমের খোসা, ছাল বা বাকি অংশ গুলোকে যদি ফ্রিজের মধ্যে রেখে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার খুবই লাভ বা উপকার হত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url