ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা ও কমানোর উপায় - ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানতে চাই
ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে
ডায়াবেটিস আমাদের একটি অতি পরিচিত রোগ বলা যায়। ডায়াবেটিস হলে বন্ধ্যাত্ব রোগটা বেশি হয়। আজকাল বন্ধ্যাত্বের পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে বাংলাদেশ এ। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা আমাদের অত্যন্ত জরুরী।
ডায়াবেটিস হলে কিডনির রোগ বা হার্ট অ্যাটাকে পরিমাণ বেশি হয় বা ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। ডায়াবেটিস অনেকে বলে থাকে যে সে তো কম খায় তাহলে ডায়াবেটিস হলো কেন কিন্তু ডায়াবেটিস কম খাওয়ার জন্য নয়। ডায়াবেটিস হয় নিয়মিত খাবার না খেলে। ডায়াবেটিস কমাতে হলে সঠিক সময়ে সঠিক খাবার গ্রহণ করতে হবে। এতে সঠিক সময়ে সুষম খাদ্য ও ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
তিনটি সময় দিনের মধ্যে বড় খাদ্য এবং তিনটি সময় দিনের মধ্যে ছোট খাদ্য গ্রহণ করতে হবে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে খাদ্যগুলো যেন সুষম ও সঠিক ক্যালোরি যুক্ত খাবার হয়। ডায়াবেটিস যেহেতু শরীরের গ্লুকোজের সাথে মিশে সমন্বয় করে বাড়ে তাই মনে রাখতে হবে খাবারগুলো যেন চিনি মুক্ত হয়। তাহলে আমরা ডায়াবেটিস থেকে চিরতরে নিরাময় হতে পারব।
ডায়াবেটিস এর লক্ষন ও প্রতিকার
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ সকলে এই রোগের সঙ্গে পরিচিত। ডায়াবেটিস হলে মানুষের শরীরে অনেক উপসর্গ দেখা দেয় যেমন - ক্ষুধামন্দ, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, শরীরে চুলকানি ইত্যাদি অনেক ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়া পা জ্বালাপোড়া করা, ঘন ঘন চশমা বদল করা, শরীরে অবশ বোধ করা, বাত ব্যথা, কাটা জায়গা ছিড়ে গেলে সহজে ঘা না শুকানো ইত্যাদি ধরনের লক্ষণ পাওয়া যায় এছাড়াও এর প্রধান লক্ষণ হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
অনেকেই ডায়াবেটিস রোগটি শরীরে পুষে রাখে তারা বুঝতেই পারেনা যে তাদের শরীরে ডায়াবেটিস রোগটি আছে। উপরে আমরা যে লক্ষণগুলির কথা বললাম ডায়াবেটিস হলে সেই লক্ষণ গুলো দেখা দিলেও প্রত্যেকটি মানুষেরই উচিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা।
বিশেষ করে যারা কায়িক শ্রম করেন না, ওজন বেশি যাদের, এছাড়া এটি বংশগত রোগও বলা যায়, যাদের সাধারণত মা বাবা ভাই-বোনদের ডায়াবেটিস আছে, যাদের রক্তে কোলেস্টরেল এইচডিএল ৩৫ এর নিচে এবং ট্রাই গ্লিসারাইড ২৫০ এর বেশি ডায়াবেটিস রোগ ধরা পড়েছিল যাদের হৃদয়ে রয়েছে এবং যারা উচ্চ রক্তচাপ এর রোগী তাদের জন্য ডায়াবেটিস অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এছাড়া যাদের ইন্সুলিনের কার্যক্ষমতা কমে গেছে, যাদের জন্মের সময় ওজন কম ছিল এবং যাদের গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস রোগ ধরা পড়েছিল এবংযেসব শিশুর ওজন বেশি এছাড়া দাদা-দাদী ফুপু চাচা বাবা মা ভাই বোনদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য ডায়াবেটিস ঝুঁকিপূর্ণ ও সেসব শিশুর ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত সেটা অনেকে জানেন না। এক্ষেত্রে গর্ভধারণের পরপরই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত পাশাপাশি 24 থেকে 28 সপ্তাহের মধ্যে ডায়াবেটিক করা উচিত। যেসব নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়েছিল তাদের সন্তান প্রসবের ৬ থেকে ১২ সপ্তাহ পর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত। ডায়াবেটিস রোগটি যদি শারীরিক শ্রম, পরিণত খাবার ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তবে এটি নিয়ে কোন চিন্তা নেই।
এটি এমন কোন রোগ নয় যে সেটা নিয়ে চিন্তা কিছু আছে কিন্তু যদি সঠিকভাবে এটি নিয়ন্ত্রণে না রাখা হয় তবে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। ডায়াবেটিস হলে চিন্তা বা ঘাবড়ানোর কিছু নেই ক্ষেত্র বিশেষে ইনসুলিন ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এছাড়া খাবার, শারীরিক শ্রম,কায়িক শ্রম এগুলোর দ্বারা ডায়াবেটিস সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকা যায়।
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা সারা জীবন বয়ে এবং সারা বিশ্বে এই ডায়াবেটিস রোগে ১০ লাখের ও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শরীরে যখন রক্তের সব জিনিসগুলোকে ভাঙতে ব্যর্থ হয় তখনই ডায়াবেটিস হয়। এটির জটিলতার কারণে অনেক মানুষের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হতে পারে। বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগটি বেড়ে চলেছে।
ডায়াবেটিস বিভিন্ন ধরনের রয়েছে যেমন - টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস রয়েছে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস শরীরের অগ্নাশয় থেকে ইন্সুলিনের কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয়। টাইপ টু নামক ডায়াবেটিস রয়েছে। যাদের এ ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের শরীরের অগ্নাশয় থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় বা এর হরমোনের কার্যকারিতা ঠিকমতো কাজ করে না।
মধ্যবয়সী বা বয়স্ক ব্যক্তিরা সাধারণত টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এর জন্য শরীরচর্চা, ডাক্তারের দ্বারা ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজনমতো ইনসুলিন সেবন করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ
ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা সেটা জানতে হলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে এবং এটি পরীক্ষার সবচেয়ে সঠিক ও সহজ পদ্ধতি হলো রোগী খালি পেটে একবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করবে তারপর 75 গ্রাম গ্লুকোজ শরবত পানের নমুনা দিতে হবে এরপর দুইবার রক্ত দিতে হবে এবং মাঝে মাঝে দুই ঘণ্টা সময় বসে থাকতে হবে।
তারপর এটি ৬.৫ এর বেশি হলে ডায়াবেটিস বলে ধরা হয়। এব.৫.৭ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকলে এটিকে ফ্রি ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিসের পূর্ব অবস্থা বলে ধরা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় এইচবি১সি নামের পরীক্ষা করা হয়। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ গড় নির্দেশ করে।
এদের পরীক্ষা দিনে যেকোনো সময় করা যায় এবং এটিতে রক্তের নমুনা একবার দিলেই চলে। আমেরিকান ডায়াবেটিস এসোশিয়োশন এর গাইড লাইনের অনুযায়ী এইচবি১চির মান ৫.৭ এর নিচে থাকলে এটি স্বাভাবিক বলে ধরা হয় এবং৬.৫ এর বেশি হলে ডায়াবেটিস আছে বলে ধরা হয়।
কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা একবার হলে আর ভালো হওয়া সম্ভব নয় তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব। ঠিকমতো খাদ্য অভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম করলে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ রেখে ডায়াবেটিসের রোগী জীবন যাপন করতে পারে। এর জন্য কি কি খাদ্য খেলে এবং পরিমাণ মত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটি সম্পর্কে আমরা জেনে নিই।
মাছে চর্বিহীন প্রোটিন রয়েছে। যা গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের নিরাময়ে যথেষ্ট সহায়তা করে এবং ঝুঁকির পরিমাণ কমায়। গবেষণা করে দেখা গেছে মাছের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিন এর সংবেদনশীলতায় উন্নত করতে সহায়তা করে। সবুজ চা রয়েছে, এটি পান করলে ইনসুলিন এর মত কাজ করে সুতরাং আমরা বুঝতেই পারছি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে। ওয়াইল্ড স্যামন উচ্চ তাপমাত্রায় ওমেগা 3 রয়েছে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি অন্যতম একটি খাবার বলা যায় ঔষধ।
এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথেষ্ট সহায়তা করে এবং পাশাপাশি কারডিও ভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। ডিমের সাদা অংশ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি একটি পেশী গঠনকারী খাদ্য এতে উচ্চ মানের প্রোটিন রয়েছে এবং চরবিহীন প্রোটিন এবং কম মাত্রাই কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা দুই ধরনের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
টক দই একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য এতে চিনির পরিমাণ অত্যন্ত কম। টক দই রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। বিকেলের নাস্তায় বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে এটি খাওয়া যায় এটি খেলে আমরা যথেষ্ট ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। এবং এটি দুই ধরনের ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। পালং শাক, পাতাকপি, ফুলকপি, শালগম, বাঁধাকপি, লেটুসপাতা ইত্যাদি।
এগুলো খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে ও কার্বোহাইড্রেট এর পরিমান কম যার কারনে গবেষণায় দেখা গেছে সবুজ শাকসবজি খেলে ১৪ শতাংশ ডায়াবেটিস কমে যায়। থাকতে হবে যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে চায় তাহলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রয়োজন। এটি শরীরের চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে লেবু বা লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি অন্যতম খাদ্য।
লেবু জাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি ও পাওয়া যায়। এছাড়া কমলা, লেবু, জাম্বু্রা, এবং লাইমস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা চীনা বাদাম ২১ শতাংশ ডায়াবেটিস কমিয়ে দেয় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১ আউন্স কাজুবাদাম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এবং নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সহায়তা করে। এভাবে যদি আমরা ঠিকমতো এই খাদ্যগুলো খাই তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং সম্পূর্ণরূপে সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ২০২৪
ইন্ডিয়াতে প্রায় ৬১% মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। বিপাকীয় সম্পর্ক যুক্ত জাকার্বোহাইড্রেট এবং গ্লুকোজ অক্সিডেশন সম্পূর্ণরূপে শনাক্ত করা হয় না এটি হচ্ছে ডায়াবেটিস। শর্করা,স্ট্যাচ এবং অন্যান্য অনেক খাবার শক্তিতে পরিণত করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়।
আবার গ্রহণের পর অনেক খাবার কিনিতে পরিণত হয় হজমের মাধ্যমে এবং এই চিনি সমস্ত শরীরে রক্তের সাথে ছড়িয়ে পড়ে। হরমোন, ইনসুলিন, তারপর গ্লুকোজ ও পরিণত হয় এবং শক্তিতে রূপান্তরিত হয় যার শরীরে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত হয়ে থাকে।
শরীরে ডায়াবেটিস নামক রোগ থাকলে ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না এবং ঠিকমতো কাজকর্ম করা যায় না রক্ত প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। আসলে ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ হলো নিয়মিত খাবার গ্রহণ, মানসিক চিন্তা,ব্যায়ামের অভাব ইত্যাদি। দুই ধরনের ডায়াবেটিসে এর প্রধান কারণ গুলোর জন্য হয়ে থাকে।
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
বাংলাদেশের ডায়াবেটিস রোগী সব 97 শতাংশই টাইপ ২ রোগে আক্রান্ত। এ ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায় এবং পদক্ষেপ নিলে রোগকে অনেক সময় বিলম্ব করা সম্ভব। এজন্য বেশি কিছু কষ্টের কোন কাজ নেই খাবার গ্রহণ করলে এবং সময় মতো খাবার গ্রহণ করতে হবে কি পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হবে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তৈরি করা খাবার বেশি পরিমাণে না খেয়ে অল্প পরিমানে খেতে হবে। ডাক্তাররা বলেন, ভাত না খেয়ে রুটি খেতে বলেন। তাই বলে ভারি ভারি ৫/৬ টা রুটি খেয়ে নিলে চলবে না। বরং তাতে উল্টো ফল হবে। আশ যুক্ত গোটা শস্য খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
মিলে ছাটা চালের বদলে ঢেঁকিতে ছাটা চালের ব্যবস্থা করে এবং মিলে ছাটা ময়দা না খেয়ে বা কেনা আটানা খেয়ে গমের ময়দা যাতাতে পিশে ছেলেদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় খাবার পরিহার করতে হবে এবং প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্সেনিকমুক্ত পানি সেবন করতে হবে। বিভিন্ন আচরণ অনুষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জনীয়।
নিয়মিত শরীরকে সকল রাখতে হবে এক্ষেত্রে হাঁটা উত্তম এবং ধূমপান বর্জন। রক্তের গ্লুকোজ, লিপিড ওজন রক্তচাপ অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রায় খেয়াল করতে হবে। নিয়মিত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ও পরীক্ষা করতে হবে সবচেয়ে ভালো হয় ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। বলা বাহুল্য যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের চেয়ে প্রতিরোধ করা বাঞ্ছনীয়।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল
ডায়াবেটিস রোগী চার থেকে পাঁচটি কাঁঠাল এর কোষ খেতে পারবেন দিনে মনে রাখতে হবে ঐদিন অন্য কোন মিষ্টি ফল যেমন আম কলা তরমুজ পাকা পেঁপে বা খেজুর খাওয়া যাবেনা। সারাদিনে মাঝারি আকারের আম হলে একটি অথবা বড় আকারের আমলে অর্ধেক খাওয়া যাবে। ডায়াবেটিসের রোগী দিনে ছয়টির বেশি লিচু খেতে পারবেন না সারাদিনে এবং ওই দিন মিষ্টি জাতীয় অন্যান্য ফল খাওয়া যাবে না। অনেকের ধারণা তরমুজে পানির পরিমাণটা বেশি তাই সুগার বাড়বে না।
কিন্তু এটা ঠিক নয় তরমুজ দিনে বেশি খেতে পারবেন না। জাম ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ভালো একটি খাবার। রক্তে চিনি ও চর্বি এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সহায়তা করে। জুস বা শরবত পরিহার করা উত্তম। আস্ত একটি গোটা ফল খাওয়া ভালো তাও বা শরবত খাওয়া উচিত নয় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।
মূল খাবার বা মধ্যাহ্ন ভোজনের সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয় ডায়াবেটিস রোগীদের কারণ মূল খাবার এমনিতেই ভাত বা রুটি থাকে এবং এতে প্রচুর পরিমাণ থাকে। বরং ফলগুলো নাস্তা হিসেবে খাওয়া যায়। ডায়াবেটিস রোগী যেদিন মিষ্টির পরিমাণ খাবে সেদিন আসর করা জাতীয় খাবার গুলো যেন কমিয়ে দেয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url